মনির খাঁন, মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সুমাইয়া আক্তার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউপির কাঠালিয়া কান্দা গ্রাম থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। নিহত সুমাইয়া আক্তার (১৩) ওই গ্রামের দিনমজুর হাকিম মিয়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে সন্দেহ ভাজন ঘাতক লম্পট জাকির হোসেন পালাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কাঠালিয়া কান্দা গ্রামের দিনমজুর হাকিম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্ষণ করে আসছিল একই গ্রামের কালা গাজীর ছেলে লম্পট জাকির হোসেন (৩৫)। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করার জন্য জাকির হোসেনকে চাপ দেয় এলাকাবাসী। বাধ্য হয়ে জাকির হোসেন তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের দু’একদিন পর থেকেই কিশোরীকে জাকির বেধরক মারধর এবং ডিভোর্স দেওয়ার জন্য নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। মঙ্গলবার সুমাইয়া এসব ঘটনা এলাকার লোকজনকে জানালে সে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আরো নির্যাতন করেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে কিশোরী সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে সুমাইয়াকে হত্যার পর তার লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে ঘাতক জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা হাকিম মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে, সে অন্তঃসত্ত্বা, জাকির তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে, আমি এই ঘাতকের যথাযথ বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, এটি যদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হয়ে থাকে অবশ্যই ঘাতকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page